কোচিংয়ে ভুল বই আনায় শিক্ষার্থীর আঙ্গুল ভাঙলো শিক্ষক
ষ্টাফ রিপোর্টারঃ কোচিং সেন্টারে ভুল বশত বিজ্ঞান বইয়ের পরিবর্তে ইসলাম শিক্ষা বই নিয়ে আসায় শেখ আরিফ উদ্দিন নেহাল (১২) নামের এক শিক্ষার্থীর হাতের আঙ্গুল ভেঙ্গে দিয়েছে যশোরের সৃজনী কোচিং সেন্টারের শিক্ষক শাহীন ইকবাল হাওলাদার। নেহাল যশোর শহরের নবকিশলয় স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র। গত শনিবার দুপুরে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে।
এ ঘটনায় শাস্তি হিসেবে কোচিং সেন্টারের মেঝেতে নেহালকে শুইয়ে পেটাতে থাকেন শাহীন। এসময় নেহালের ডান হাতের একটি আঙুল ভেঙে যায়, উঠে যায় একটি নখও। চোখের নিচে ঘুষিও মারেন শাহীন। সেখানে দুদিন পরও কালো দাগ হয়ে আছে। ঊরুতে ও হাটুর নিচে বেতের আঘাতে ফেটে গিয়ে রক্ত বেরিয়ে যায়। পেটাতে পেটাতে একপর্যায়ে বেত ভেঙে গেলে পাশের রুম থেকে আরেকটি বেত আনতে যান শিক্ষক শাহীন ইকবাল। এ সুযোগে ঘর থেকে দৌঁড়ে পাগলের মতো বাড়ি ফেরে নেহাল।
বিষয়টি জানাজানি হলে ওই দিন পুলিশ সৃজনী কোচিং সেন্টারের শিক্ষক শাহীন ইকবালকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে অবশ্য তাঁকে ছেড়েও দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমল হুদা জানান, ওই শিক্ষককে আটক করার পর এলাকাবাসী মীমাংসার উদ্যোগ নেয়। এই উদ্যোগে শিশু নেহালের বাবা রাজি হন। দুইপক্ষের মীমাংসা হয়ে গেলে ওই শিক্ষককে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান ওসি।
তবে শিশুটির বাবা নিরালা পট্টি এলাকার বাসিন্দা শেখ কুতুব উদ্দিন প্রিন্সের দাবি, এলাকার মুরব্বিদের চাপের মুখে তিনি মীমাংসার জন্য রাজি হয়েছিলেন। অভিযোগ বা মামলা না দিলেও পুলিশ বাদী হয়েও মামলা করতে পারত বলেও মন্তব্য করেন শেখ কুতুব উদ্দিন প্রিন্স।
শেখ কুতুব উদ্দিন প্রিন্স বলেন, ‘তা না করে পুলিশ তাকে ছেড়ে দিল কেন? সারা রাত আমার ছেলে ব্যথায় ঘুমাতে পারছে না। একটা নখ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমি ওই শিক্ষকের শাস্তি চাই