মহেশপুরে মোবাইল চুরির দায়ে গাছে বেঁধে শিশু নির্যাতন
সংবাদদাতাঃ ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার রুপদা গ্রামে বৃহস্পতিবার মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে ১২ বছরের শিশু সাগরকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। সাগর একই গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে।
এ ঘটনায় আজ দুপুরে নির্যাতনকারী আবু বকর ওরফে বাক্কাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, রুপদা গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে আবু বকর ওরফে বাক্কার ঘর থেকে তিনটি মোবাইল চুরি হয়। আবু বকর ও তার ছেলে নাসির উদ্দীন এ ঘটনায় সন্দেহ করে শিশু সাগরকে। তারা পিতা-পুত্র মিলে শিশু সাগরকে গাছের সাথে বেঁধে মারপিট করে।
প্রতিবেশী নাছির উদ্দীন বলেন, সাগরের মায়ের সাথে তার বাবার চার বছর পুর্বে বিচ্ছেদ হয়। মা ঢাকায় থাকেন। শিশু সাগর তার বাবা ইউসুফ আলীর কাছে থাকলেও তার কোনো খোঁজ খবর নেন না সাগরের বাবা।
তিনি আরো জানান, বৃহস্পতিবার সকালে আবু বকরের স্ত্রী তাকে জানায়, শিশু সাগর তাদের ঘর থেকে তিনটি মোবাইল চুরি করেছে। কিন্তু সাগরের কাছ থেকে তারা কোনো মোবাইল উদ্ধার করতে পারেনি।
বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে করেন নাছির উদ্দীন।
এ বিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বর ওয়াসিম আকরাম জানান, তিনি সাংবাদিকদের কাছ থেকে ঘটনা শুনেছেন। তিনি মিটিংয়ে আছেন। বাড়ি ফিরে বিষয়টি দেখবেন।
অভিযুক্ত আবু বকর ওরফে বাক্কা শিশু নির্যাতনের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমার ঘর থেকে সাগর তিনটি মোবাইল চুরি করে। আমি তাকে হালকা চড়থাপ্পড় দিয়েছি।’
গাছে বেঁধে নির্যাতনের কথা তিনি অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে মহেশপুর ও কোটচাঁদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে আংশিক সত্যতা পেয়েছি। শিশুটিকে গাছে বাঁধা হলেও তাকে মারা হয়নি।
মহেশপুর থানা পুলিশ অভিযুক্ত আবু বকরকে দুপুরে গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।